ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি: লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো ফারইষ্ট বীমা কর্মকর্তা

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও :
রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে  চাকরির প্রলোভনে লাখো টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এ ইন্সুরেন্স কর্মকর্তার বিরুদ্ধে । এক এনজিও’র নামে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ভূক্তভোগিদের দাবি।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কক্সবাজার শাখার জাফর আহমদ নামের এক কর্মকর্তা বিগত কয়েক মাস পূর্ব থেকে জেলার বেকার যুবকদের টেকনাফ -উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে এনজিও’র মাধ্যমে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ফেলে লাখো টাকা হাতিয়ে নেয়।

ইউনেস্ক নামের এক এনজিও’র নামে তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট এ অপকর্ম অব্যাহত রাখে।  বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে জন প্রতি ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার  টাকা করে জেলার শতশত বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা লাখ টাকা  হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এ চক্রে মহিলা সদস্যও রয়েছে বলে জানা গেছে। ইউনেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড নামের এনজিওটির প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দেয়া হয়, ঢাকা । রোড-৯,হাউস নং-৫১১,৩য় তলা,ঢাকা কেন্টারমেন্ট, বারিধারা,ডিওএইচএস,ঢাকা।

জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে যোগ দিত হবে মর্মে নিয়োগ পত্রও দেয় উক্ত ফারইস্ট কর্মকর্তা ফারইস্ট ইন্সুরেন্স কোম্পানির খামে কয়েকজনকে। আবার অনেককে ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী বিকাশে টাকা নেয়া ঐ মহিলা মেসেজের মাধ্যমে কর্মস্থলে যোগ দিতে বলে।  নিয়োগ পত্র অনুবলে কর্মস্থল রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে গেলে ঐরকম কোন এনজিও’র অস্তিত্ব পাননি বলে ভূক্তভোগিরা জানান।পরে তারা উক্ত কর্মকর্তার সাথে বারবার যোগাযোগ করলে এমাসে, ঐ মাসে হবে বলে কালক্ষেপণ করে আসছে।ঐ

প্রতারণার শিকার কয়েকজন হল ঈদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব ভোমরিয়া ঘোনার নুরুল হাকিমের ছেলে আবদুল মামুন, একই এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে লোকমান হাকিম, ফরিদুল আলমের ছেলে শাহীন শাহরিয়ার, কানিয়া ছড়ার মোঃ ফরিদুল আলমের ছেলে নাজমুল আলম, মধ্য ভোমরিয়াঘোনার ছৈয়দ আলমের ছেলে মুজিবুল হক, ভোমরিয়াঘোনার আহমদ হোছনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব গজালিয়ার শফিকুর রহমানের ছেলে মোঃ জিসান,পশ্চিম গজালিয়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মহি উদ্দীন ও ফরহাদ উদ্দিন ।

তারা জানান,মহিউদ্দিন সরল বিশ্বাসে ঐ ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা  জাফরের কথা মতো তাদের কাছ থেকে টাকা নেয় ।পরে ঐ প্রতারকের কথামত  উক্ত

এনজিও’র ঢাকাস্থ কথিত মহিলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহি উদ্দিনের কাছ থেকে ০১৯৬১৮২৮৬৩৯ নং বিকাশ নাম্বারে জন প্রতি ৪২৫০ টাকা করে নেয়। তবে তার কাছে থেকে   ফারইষ্ট কর্মকর্তা জাফর আহমদ নিজ হাতে ৬ হাজার ১৫০ টাকা  এবং  অন্যদের টাকা উপরোক্ত মহিলার দেয়া বিকাশ নাম্বারে দিতে বলে জানান মহি উদ্দিন ।পরে জাফর আহমদ নিজ হাতে ফারইষ্টের খামের মাধ্যমে তাকে একটি নিয়োগ পত্র,পরিচয় পত্র এবং ৩ হাজার টাকার মানি রিসিভ দেয়।

উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জাফর আহমদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কোন সময় উক্ত ঘটনা স্বীকার করেন,আবার কিছুক্ষণ পর অস্বীকার করেন।

মহিউদ্দিনসহ অপরাপর ভুক্তভোগিরা জানান, জাফর আহমদের নেতৃত্বে জেলার শতশত বেকার যুবকদের মাধ্যমে লাখো টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। তাকে আটক করলেই বেরিয়ে আসবে প্রতারক চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।ঢাকার কথিত মহিলা কর্মকর্তার মোবাইলে(০১৭০৫৩৮৫৩৬৯) বারবার কল দিলেও রিসিভ করেনি।

পাঠকের মতামত: